★কক্সবাজার ভ্রমন বিস্ময়কর ঘটনা★ তাঃ-০৭/০২/১৯ আমারা পাঁচজন বন্ধু মিলে বাড়ি থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমাদের নাম হচ্ছে -ইকবাল,সাইফুল, নাঈম,মাহমুদ, সাথে ছিলাম আমি আবু সুফিয়ান। যাই হোক কিন্তু তখন আমার কক্সবাজার গভ্রমনটি ছিল ২য় বার। আগে একবার দুইবছর আগে গিয়ে ছিলাম। এখনো না যাওয়ায় ইচ্ছে ছিল। তারপর প্রেন্ড ইকবাল যখন বলছিল না গিয়ে পারলাম না। আর তার মধ্যে আমার বিদেশ যাওয়ার ভিসাও হয়ে গেছে তাই বন্ধুদের আবদারটা আর না রেখে পারলামনা। তাই তাদের সাথে ছলে আসলাম কক্সবাজারে। কিন্তু তার মধ্য দিয়ে ঘটে গেল এক ঘটনা। আমি বাড়ি থেকে বের হলাম এদিকে ইকবাল আর নঈম আমার জন্য অপেক্ষা করতেছে। আসতে আসতে ওদের বাড়ির সামনে ছলে আসলাম। ওদের সাথে দেখা হলো। তারপর আমারা হাটতে শুরু করলাম যেতে যেতে রেললাইন পর্যন্ত গেলাম। তখন একজন ভাই বলতে ছিল তোমরা কোথায় যাব৷ আমরা বলছিলাম আমরা কক্সবাজার যাব। তখন ওনি বলছিল দাড়াও ট্রেন আসবে এখানে একটু স্লো করবে তারপর তোমরা উঠে যেয়েও টিক আমরা তাই করলাম। মানে ট্রেনের জন্য দাঁড়ায় থাকলাম। টিক ৪-৫ মিনিট খানিক পরে ট্রেন এসে পড়ল। আমরা ওঠে গেলাম। কিন্তু ওখানে কোন স্টেশন নেই তারপরও ট্রেন স্লো করছিল। হয়তো ছেলে যেটি আমাদের দাড়াতে বলছে ওনার কোন আত্মীয় ট্রেনের চালক বা অন্য কিছু হবে। যাক আমাদের জন্য হাটহাজারীতে বাস স্টেশনে অপেক্ষা করতে লাগলো সাইফুল আর মাহমুদ। আবার তাদের ফোন করে বল্লাম আমরা ট্রেনে ওঠে গেছি তোমরাও ট্রেন স্টেশনে ছলে আস। ট্রেনের জার্নি টা আলাদাই মজা। যাক হাটহাজারী ট্রেন স্টেশনে ছলে আসলাম মাহমুদ আর সাইফুল দাড়িয়ে আছে তাদের তারাতাড়ি করে নক করলাম তারা তাৎখনিক ওঠে পড়ল। তাদের সাথে পরিচয় হলাম। কিন্তু আরেকটি ব্যাপার হলো তারা আমাকে আর ইকবালকে চিনতো না। তারা ছিল নাঈমের ফ্রেন্ড। তাই তাদের সাথে নাঈম পরিচয় করিয়ে দিল। তারপর অনেক গল্প করতে লাগলাম। কিন্তু এতক্ষণ ছিলাম তিন জন এখন হইছি পাঁচজন। আরতো বলতে হচ্ছে না পাঁচজন যখন একসাথে হইছি বোমের শেষ নাই। যাইহোক ট্রেনের জার্নি শেষ এখন চট্টগ্রাম সহরে এবার চিন্তা কিভাবে যাওয়া যায়। কক্সবাজারে তাই সকাল সকাল বের হলাম তো তাই একটু নাস্তা করে নিলাম। তারপর হানিফ গাড়ির টিকিট কাটলাম। এখন গাড়ির জার্নিটা ট্রেন থেকে একটু আলাদা। তাই আরামে চল্লাম ভ্রমনে যেতে যেতেই গেলাম চকরিয়া বাস টার্মিনাল। সেখান থেকে উটল একজন অগোছালো মানুষ। অগোছালো বলছি এজন্য মানুষটির গায়ে ছিল একটি চাদর চুল গুলো লম্বা লম্বা বাবলি কাটা চুল গোলও তেমন গোছানো না। যাই হোক আমরা পথ চলতে লাগলাম। একটু ঘুমালাম তারপর পাশে ছিল ইকবাল পাশ থেকে ডাকছে বলছে আমরা ছলে আসছি। দেখি চলে আসলাম কক্সবাজার কলাতল টার্মিনালে আস্তে আস্তে সবাই নেমে গেলাম। একটু আগে নামায় দেওয়ায় কনটাক্টরের সাথে বাড়াবাড়ি করছিল কিছু লোক তাই আমারা ওখান থেকে সড়ে গিয়ে হোটেলে ঢুকলাম তখন আবার দুপুরের খাওয়ার টাইম ছিল। তাই চিন্তা করলাম এখান থেকে দুপুরের খাবারটা খেয়ে বীক্স এর দিকে যাব। পাঁচজনের মতামত্ তাই ছিল খাবার খেয়ে নিলাম মনের আনন্দে। খাওয়া দাওয়া শেষ। এখন রওনা হব বীক্স এর দিকে একটা সিএনজি টিক করলাম। তখন মিললো না ইকবালের মোবাইলটা আমরা পাঁচজন সবাই সবার পকেট ব্যাগে খোঁজলাম তারপরও মিললো না। সিএনজি থামিয়ে যে হোটেলে খাবার খেলাম ওখানে খোজতে লাগলাম পেলামা না। হানিফ গাড়ি টাতেও খোঁজতে লাগলাম যে গাড়িতে আমরা আসছি পেলাম না। কি করব সবার মন খারাপ করে চলতে লাগলাম। পাকে পাকে হারিয়ে যাওয়া মোবাইলটিতে কল দিচ্ছি কেউ রিসিভ করছে না। পৌছলাম এখন বীক্স এর প্রান্তে। এখন মোবাইলের চিন্তা বাদ-দিয়ে হোটেল খুঁজতেছিলাম খুঁজতে খুঁজতে টিক হলো একটা রোম। দিনের শেষ দিক হয়ে গেছে। আছরের পরে আসছে আমাদের উস্তাদ সেই হেফজ খানার হুজুর “হযরত হাফেজ মাওলানা শামশুল হক সাহেব” যার কাছে আমি উনিশ পাড়া হেফজ করেছি। হুজুরকে সালাম করলাম তারপর কিছু কথা বার্তা বলার পর ইকবালের হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের কথা বললাম। তখন হুজুর আমরা যে টিকিট কাটছিলাম ঐ টিকিট থেকে কাউন্টারে কল দিছিল তখন ওদের সাথে কথা বললাম। তারা দেখবে বলছিল এর মধ্য দিয়ে কল দিতে লাগলাম হারিয়ে যাওয়া মোবাইলে হাঠাৎ কল রিসিভ করল। তার সাথেও হুজুর কথা বলছে এখন একটু শান্ত হলাম। কারণ যে মোবাইল পাইছে উনি বলছে সে নাকি সকালে কলাতলির দিকে আটটার সময় আসবে তখন মোবাইল দিয়ে দিবে। আমরা এখনো জানিনা মোবাইল কার হাতে। নাকি ড্রাইভারের কাছে নাকি কনটাক্টরের কাছে। আচ্ছা এখন চিন্তা সকালের যাই হোক দিবে বলছে। সব চিন্তা বাদ দিয়ে অনেক মজা করতে লাগলাম। মজা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল হল এখন আবার চিন্তা ইকবালের মোবাইলটা কারণ আটটার দিকে আসবে বলছে লোকটি মোবাইল নিয়ে। তাই সকাল সকাল উঠে সাগর পাড়ে গেলাম। ঘুরাফেরা করে সাবাই টমটমে করে গেলাম কলাতলি তাকে কল দিলাম সে এখনো নাকি ঘুম থেকে উটে নাই নাস্তা পানিও করে নাই। আমরা বলছিলাম নাস্তা পানি আমরা করাব আপনি একটু আসেন। সে আসতে রাজি না তারপর আমরা টিকানা দিতে বললাম সে টিকানা দিল কলাতলির পূর্ব দিকে একটি রাস্তা গেছে ওটা দিয়ে যাওয়ার জন্য। মেম্বারের ঘাটা জিনজিরা একোয়া জামে মসজিদ। আচ্ছা অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে পেলাম। দূর থেকে দেখে আমি ভয় পেয়ে গেলাম কিন্তু আর চারজন পাইছে কিনা জনিনা। ভয় পাওয়ার কারণ হচ্ছে ঐ লোকটি যে টি জরাজীর্ণ ছিল লম্বা চুল ওয়ালা। যাকে চকরিয়ে থেকে গাড়িতে উঠতে দেখলাম সে। এতক্ষণ আমাদের সাথে ফোনে কথা বলতেছে। আচ্ছা যাই হোক সামনের দিকে যেতে লাগলাম। : আমি যখন যেতে লাগলাম সবাই লাগলো। তারপর আমরা একজন একজন করে অপরজনকে সালাম করলাম এরপর অনেক বিস্মিত হয়ে গেলাম। মানেটা হচ্ছে যেরকম মনে করছি সেরকম না ওরা। ওখানে ফ্যামিলি আরো অনেক জন আছে তার মধ্যে তিনজন পুরুষ একজন হচ্ছে ঘরের মালিক অন্য 2 জন মেহমান। মেহেমানরা আমাদের মোবাইলটা পাইছিল। আচ্ছা ওখানে সালাম কালাম শেষ হওয়ার শুরুতেই ওরা বল্লো আবু সুফিয়ান কে আমি বললাম আমি। কি হইছে কারণ ওরা আমার নাম আগে শুনেনি এখন কিভাবে নামটা জানলো আমি অবাক। তাই বললাম আমি কি হইছে তারাতাড়ি বল। তখন ওই নাম্বার থেকে নাকি গালি দিছে আমি বললাম আমি তো কাওকে গালি দিইনি। তখন আমার মনে হলো মনে হয় ইকবাল আমার মোবাইলে থেকে কল দিয়ে কিছু বলছিল। আচ্ছা ওদের সাথে পরিচয় হলাম সবাই আর আমাদের পুরো ঘটনা বললাম। আর তার মধ্যে আমাদের জন্য নাস্তাও রেড়ি করতে চাচ্ছে কিন্তু আমরা না করলাম। তখন ওরা বলছে তাহলে একটা করে বিস্কিট খেয়ে জান তারপর বিস্কুট এর পেকেট একটা দিল আমি নিয়ে খুল্লাম পেকেট টা তারপর সবাই একটা একটা খেলাম। খাওয়ার আগে মনে ভয়ও লাগছিল। নতুন জায়গায় গেছি কিনা কি খাওয়াচ্ছে। যাই হোক মোবাইলটা ইকবালের হাতে তোলে দিল। সবার এখন অনেক খুশি লাগছে যত সব টেনশনে ছিলাম মোবাইলটা নিয়ে। এখন ইকবাল টাকা দিতে চেয়ে ছিল কিন্তু ওরা না করে দিল। টাকা হয়ত পাঁচশত টাকা হবে। অনেক জ্বোর করছিলাম দিতে পারলামনা টাকা টা। জিজ্ঞেস করলাম বাড়ি কোথায় ওরা বল্লো চকরিয়া লামাতে ওরা নাকি এখানে বেড়াতে এসেছে। চকরিয়া লামাতে যখন বল্লো আমার এক বান্ধবীর কথা মনে পড়ে গেল। কারণ ওখানের একটি মেয়ে আমার রবি সার্কেল থেকে আমার নাম্বার নিয়ে কল করতে লাগলো কিন্তু আমি কোন এলাো করলাম না। বারবার যখন বিরক্ত করতেছির তখন একদিক কল রিসিভ করে পেলি কথা চলতে চলতে প্রেন্ডসিপ হয়ে গেল। তার সাথে দেখা হল ইমুতে কিন্তু তারপর থেকে সে আমাকে ভিন্ন ভাবে নিল। কারণ সে এখন প্রেমিক হিসাবে দেখে আমাকে আমি বলছিলাম আমার দ্বারা তা সম্ভব না। কারণ আমি অন্য একজনকে মনের মাজে রাখছিলাম। তখন ওনি আমাকে বারবার বলছিল সাধারণত শেষ পর্যায়ে প্রেমিকা যেটা বলে সেটা আরকি। যাক এখন তার সাথে আর কথা হয়না। ও আচ্ছা লোকটির সাথে কথা বলতেছি আর চিন্তা করতেছি। এমন একজন লোক যে নাকি মোবাইল পাইছে আবার দিয়ে দিচ্ছে এ কোন ধরনের লোক দেখতে তেমন স্মার্ট না।এরকম লোক তো মোবাইল পেলে রেখে দে। ও দিয়ে দিচ্ছে কেন? তার থেকে ধর্মের পরিচয় চাইলে সে বলে আমি একজন হিন্দু মায়ের ছেলে। আমি সত্যের সন্ধানে আছি। যাই হোক যে যেটা বোজে সেটাই তার ইচ্ছা। কিন্তু অনেক আনন্দ পেলাম মানুষগুলোর সাথে কথা বলে। ধর্ম ভিন্ন হলেও আমরা হুজুর ছিলাম বিদায় অনেক সম্মান করল। অনেক মায়া মমতা দেখাইলো। তারপর দিনটা কক্সবাজার কাটায় সন্ধ্যার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হলাম। ঘটনাটা গল্প হিসাবে মনে গেতে রাখলাম। আজ আপনাদের শেয়ার করলাম। ★★★ কিন্তু এরকম যদি প্রত্যেক মানুষের মনমানসিকতা এরকম হতো তাহলে মানুষকে মানুষ কখনো মারামারি হানাহানি এগোলে পৃথিবীর ধরাচোয়ার বাইরে থাকতো। আমরা প্রতিটি মানুষের মনকে পবিত্র করি ইনশাআল্লাহ আমাদের সবসময় মঙ্গল হবে।* *আমার কোন ধরনের ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ★★গল্প কারঃ- এইচ,এম,আবু সুফিযান সওরী★★
Check Also
ভালোবাসা দিবস পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী
★”””ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও …